প্রশ্ন বিশ্লেষণ : ৩৫তম থেকে ৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা

By | 11/10/2020

বিশেষজ্ঞগণ বাংলা সাহিত্যকে তাদের সময়কাল অনুযায়ী ৩টি ভাগে বিভক্ত করেছেন–প্রাচীন যুগ, মধ্য যুগ এবং আধুনিক যুগ। বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নকে তাদের সময়কাল বা মান বা অন্য যেকোন আদর্শ অনুযায়ী বিভক্ত করলে একটি যুগ পাওয়া যাবে সেটার নাম হচ্ছে আধুনিক যুগ আর এই আধুনিক যুগ বলতে বোঝায় ৩৫তম থেকে ৪৩তম বা পরবর্তী সময়ের বিসিএস পরীক্ষা। এই পোস্টে আধুনিক যুগ তথা ৩৫তম থেকে ৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন বিশ্লেষণ করা হল যাতে আপনাদের স্ট্যাটেজি সেট করতে সুবিধা হয়।

BCS Preliminary Question Analysis

৩৫তম থেকে ৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে মূলত দুই রঙ এর প্রশ্ন হয়। লাল এবং সবুজ। চাইলে আরও রঙ বলা যেতে পারে কিন্তু বোঝার জন্য দুইটি ভাগে বিভক্ত করাটাই শ্রেয় বলে আমি মনে করছি। সবুজ বলছি গতানুগতিক জব সলুউশন টাইপ প্রশ্নকে আর লাল বলছি ভিন্নধর্মী প্রশ্নকে। অর্থাৎ সবুজ হচ্ছে ৩৬তম, ৩৮তম এবং ৪৩তম বিসিএস; লাল হচ্ছে ৩৫তম, ৩৭তম, ৪০তম এবং ৪১তম বিসিএস। সবুজ প্রশ্ন পাস করার জন্য ইজি আর লাল পাস করার জন্য কঠিন কথাটা আসলে সম্পূর্ণ সঠিক নয় কারণ দিনশেষে প্রশ্ন যতই কমন টাইপের আসুক শীর্ষে যারা থাকবেন তারাই পাস করবেন। বলা যেতে পারে শীর্ষের ১৫ হাজার পাস করবেন। তবে আপনাকে ৫ হাজার নিলেও যাতে পাস করেন সেভাবে প্রস্তুত হতে হবে। এতে আপনি বিসিএস ছাড়াও অন্য ভাল চাকরির প্রিলিতে পাস করার জন্য বেশি যোগ্য হয়ে উঠবেন। অন্য ভাল চাকরি হতে পারে এন এস আই, দুদ্কের মত প্রতিষ্ঠানে চাকরি বা সাবরেজিস্টার; যদিও সাবরেজিস্টার ৩৫তম এবং ৩৭তম বিসিএস নন ক্যাডার থেকে নিয়েছে। তাই সবুজ টাইপের প্রশ্ন আসলেও পরীক্ষার হলে মাথা ঠান্ডা করে উত্তর দিতে হবে নইলে নেগেটিভ মার্কিং এর কাছে হার মানতে হবে। মূলত বিসিএস পরীক্ষায় না পারার জন্য কেউ ফেল করে না, ফেল করে নেগেটিভ মার্কিং এর কারণে। প্র্যাকটিসের অভাব আর মানসিক চাপের কারণে নেভেটিভ মার্কিং কাল হয়ে দাঁড়ায়। তাই প্রচুর প্র্যাকটিস করতে হবে। একটা ঘটনা বলি রিয়াল মাদ্রিদের একটা খেলোয়াড়, নাম খুব সম্ভবত হামাস রদ্রিগেজ একদিন দুই ঘণ্টা আগে ট্রেনিং করতে চলে যান। হয়ত তিনি সবাইকে বা কোচকে ইম্প্রেস করতে চাচ্ছিলেন কিন্তু গিয়ে দেখেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো প্র্যাকটিস করছেন! তাই শুধু মেধা থাকলেই হবে না, সেটাকে কাজে লাগানোও একটা যোগ্যতা। ব্রাজিলের রোনালদিনহোর দিকে তাকালে সেটা খুব স্পষ্টভাবে দেখা যায়–what a waste of talent!

এই গ্রুপের প্রশ্ন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সবুজ, লাল দুই দিকই খেয়াল রাখা হবে যাতে আসল পরীক্ষার একটা ফ্লেভার পাওয়া যায় এবং আপনারা বুঝতে পারেন আসল পরীক্ষায় কীভাবে এন্সার করতে হবে, কতটুক রিস্ক নিতে হবে।

ধন্যবাদ।

অবশ্যই পড়ুন BCS Preparation

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Leave a Reply

Your email address will not be published.